জর্জিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি ও স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির প্রকৌশলীরা একটি প্রসারিত, নমনীয় সেন্সরযুক্ত ছোট, স্বয়ংসম্পূর্ণ যন্ত্র তৈরি করেছেন। যা ত্বকের সাথে লেগে থাকতে পারে এবং ত্বকের নিচের টিউমারের আকার পরিবর্তন পরিমাপ করতে পারে।
ব্যাটারিচালিত যন্ত্রটি মাত্র একটি বোতাম চাপলেই তারহীনভাবে স্মার্টফোনের অ্যাপে টিউমারের আকার পরিবর্তন সংক্রান্ত পাঠ পাঠিয়ে দিতে সক্ষম। আর এটি ত্বকেরও ক্ষতি করবে না। এমনটাই দাবি করেছেন প্রকৌশলীদের দলটি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এএনআইয়ের খবরে বলা হয়েছে, যন্ত্রটিকে এর উদ্ভাবকদল সংক্ষেপে বলছে 'ফাস্ট'। যার পূর্ণরূপ হচ্ছে 'ফ্লেক্সিবল অটোনোমাস সেন্সর মেজারিং টিউমরস'। সহজভাবে বললে এমন এক নমনীয় যন্ত্র যা স্বয়ংক্রিয়ভাবে সেন্সরের সাহায্যে টিউমারের আকার পরিমাপ করতে পারে।
দলটির দাবি, ক্যান্সার চিকিৎসায় যন্ত্রটি নতুন সম্ভাবনা তৈরি করবে। কারণ এ ধরনের চিকিৎসায় ওষুধ কাজে লাগছে কি না তা বুঝা যায় টিউমারের আকারের পরিবর্তন দেখে। সেখানে সহজে, কম খরচে, স্বয়ংক্রিয়ভাবে, দ্রুত আকার পরিবর্তনের পাঠ স্মার্টফোনের পর্দায় জানিয়ে দিতে পারবে ফাস্ট।
পড়ুন: দেশের প্রথম ‘ক্যাশ লেস’ ক্যাম্পাস হবে হাজী দানেশ: আইসিটি প্রতিমন্ত্রী
প্রতিবছর গবেষকরা ইঁদুরের শরীরে ত্বকের নিচের টিউমারে হাজারো ক্যান্সার ওষুধ পরীক্ষা করে দেখেন। এর খুব কমই মানব শরীরে পরীক্ষা করে দেখা হয়। তাছাড়া বর্তমান যে প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয় তা দিয়ে থেরাপি ও ওষুধের কার্যকারিতা পরখ করে দেখতে বেশখানিকটা সময় লেগে যায়।
টিউমারের সহজাত জৈবিক পরিবর্তন, বিদ্যমান পরিমাপ পদ্ধতির ত্রুটি এবং তুলনামূলকভাবে ছোট আকারের নমুনার কারণে ওষুধের যাচাই কঠিন এবং শ্রমসাধ্য হয়ে ওঠে।
এই গবেষণার একজন গবেষক ও গবেষণাপত্রের প্রধান লেখক অ্যালেক্স আব্রামসন বলেন, 'কিছু ক্ষেত্রে টিউমার হাতের সাহায্যে স্লাইড ক্যালিপার্স নামক পরিমাপক যন্ত্রের সাহায্যে পরিমাপ করা হয়ে থাকে।'
তিনি আরও বলেন, ত্বকের মতো নরম টিস্যুর ক্ষেত্রে স্লাইড ক্যালিপার্সের মতো ধাতব যন্ত্রের ব্যবহার কখনও আদর্শ হতে পারে না। তাছাড়া রেডিওলজিক্যাল পন্থায় তাৎক্ষণিকভাবে পর্যায়ক্রমে পরিমাপ দেখাতে পারে না। সেখানে ফাস্ট মিনিটের মধ্যেই কাজটি করতে সক্ষম
গবেষকদের মতে, যন্ত্রটি নমনীয় ও প্রসারিত পলিমার দিয়ে তৈরি। যাতে যুক্ত করা হয়েছে সোনার তৈরি বর্তনী। ব্যাটারিচালিত এই যন্ত্রটি ত্বকের সাথে যুক্ত করা যায়।
তারা জানিয়েছে, ফাস্ট ব্যবহারযোগ্য করতে ৬০ মার্কিন ডলার বা তার কিছু বেশি খরচ হতে পারে।
পড়ুন: কোন দেশগুলোতে সবচেয়ে কম দামে আইফোন-১৪ পাওয়া যাবে?
ইলন মাস্কের প্রাক্তন বান্ধবী তাদের স্মৃতিচিহ্নগুলো নিলামে তুলেছে!